নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলাটির তদন্ত ‘প্রভাবমুক্ত’ভাবে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে এই মামলা প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত করা হবে।
এখানে প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও কেউ করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, একইভাবে তাকেও আনা হবে।
পুরান ঢাকার এক আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তারা শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর সংসদ সদস্য।
গত রোববার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করে সশস্ত্রবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনেন মামলার বাদী ওয়াসিফ।
হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান কারাগারে কোয়ারেন্টিনে
নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরে ফেঁসে গেলেন হাজী সেলিমের ছেলে।
এরপর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মদ্যপান ও ওয়াটকি পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের সাজা দিয়ে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এজাহারে নাম থাকা অন্য তিন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারী ও শিশুদের দ্রুততম সেবা প্রদানের জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারকে পেয়ে এই মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার নথি দেখে প্রয়োজনে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে পাঠানো হবে।
ইরফানকে কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে আনার ইঙ্গিত দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া থেকে সব কিছুই করবে।