লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
বিগত কয়েক বছর থেকেই প্রশাসনকে হাতিয়ার করে প্রশাসনের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করার রেওয়াজ আওয়ামী গ্রুপ রাজনীতিতে নিমজ্জিত রামগঞ্জ উপজেলায় চলে আসছে। সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রীক এই রকম একটি সিন্ডিকেটকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিনসহ স্থানীয় কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে। এই গ্রুপ রাজনীতির যাতাকলে পিষ্ট হয়ে বিগত তিন বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে সম্মিলিত কোনো দলীয় প্রোগ্রাম হতে দিচ্ছে না দলবাজরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের উদ্যোগে ও যুবলীগের ব্যনারে এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারনাসহ জাতীয় ও দলীয় প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হলে অপতৎপরতা শুরু করে ঐ সিন্ডিকেট। তাই যুবলীগ নেতা পবনকে টার্গেট করে এবার অপপ্রচার ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচীও দেওয়া হয়। ৩১ জানুয়ারী রামগঞ্জে মানববন্ধনের কারন হিসেবে লক্ষ্মীপুরের ডিসি ও এসপিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপমান করার অজুহাত দাঁড় করানো হয়। এমন অসত্য সংবাদে বিষ্মিত হয়ে যায় রামগঞ্জের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, করোনা ক্রান্তিকালে সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করে রামগঞ্জে মেয়র কাপ টুর্নামেন্টের খেলা চলছিলো ৩০ জানুয়ারী রাতের বেলায়। খেলার মাঠে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ রামগঞ্জ পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারে অতিথিদের বসাকেন্দ্রীক আলাপচারিতায় সমর্থক পর্যায়ে হট্টগোল হয় এবং অতিথিরা খেলা উপভোগ করে চলে যায়। পরবর্তীতে ৩১ জানুয়ারী বিকেল বেলায় একটি ব্যানার সামনে নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক,পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদকসহ স্থানীয় সাংসদের অনুসারী আওয়ামী লীগের একটা পক্ষ। ব্যানারে লেখা ছিলো- মেয়র কাপ টুনার্মেন্ট চলার সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপমানের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের বহিস্কার দাবীতে মানববন্ধন। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন- তাদের অভিযোগ অনুসারে হাবিবুর রহমান পবন অপমান করলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের করেছে,তাহলে মানববন্ধন করবে প্রশাসনের লোকজন,আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মানব বন্ধনের আয়োজক হবে কেনো? আরেক জন নেতা বলেন, ডিসি ও এসপিকে অপমান করে থাকলে নিয়মিত মামলা রুজু না হয়ে হঠাৎ যুবলীগ থেকে বহিস্কারের প্রশ্ন আসবে কেনো? আবার বহিস্কার চাইলে শুধু মাত্র সাংসদের অনুসারী পক্ষ কেনো? উপজেলা যুবলীগের এক নেতা বলেন,মূলতঃ হাবিবুর রহমান আগামী দিনে সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে পারে- এমন আশংকায় তাকে অসত্য অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনের সাথে দুরত্ব তৈরীর মাধ্যমে এলাকা ছাড়া করার পরিকল্পনা হতে পারে। যদিও যুবলীগ নেতা পবন আমাদেরকে অপমান তো দূরের কথা উনার সাথে আমাদের কথাই হয় নাই-সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক। অবিলম্বে প্রশাসনিক ও দলীয় তদন্ত টিম গঠন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করার দাবী জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃব্দ।