প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের সংক্রমিত রোগের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বিকাশের শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক। ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ঘনত্ব, ভ্রমণ এবং বনাঞ্চল বর্ধনের ফলে জীব জন্তু থেকে রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে গেছে, ।
করোনার উৎপত্তি ঠিক কোথা থেকে আসল তা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি গবেষকরা, তবে বেশিরভাগের ধারণা এটি বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের শরীরে পৌঁছেছিল। এছাড়া বিজ্ঞানীদের ধারণা ইবোলাও প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে আসছে।
চলতি বছরের জুনে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে চীনে সোয়াইন ফ্লুর একটি নতুন মাত্রা ধারণ করেছে যা মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে গবেষকরা লিখেছিলেন শূকর থেকে এই মহামারী হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে প্রতি বছর জীব জন্তু থেকে সংক্রমিত রোগের কারণে লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বছরে সংক্রমিত রোগের শতকরা ৬০ ভাগ জীব জন্তু থেকে হচ্ছে।
অধ্যাপক গিলবার্ট বলেছিলেন, পৃথিবী আরও বিশ্বায়িত হওয়ার সাথে সাথে প্রাণী থেকে সংক্রমিত রোগের ঝুঁকি আরও বাড়তে থাকবে। অধ্যাপক গিলবার্ট, যার কাজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন ফ্লু ভ্যাকসিনের গবেষণা করা বলেছিলেন যে ২০১৭ -২০১৮ সালের মত অন্য একটি ফ্লু মহামারী আকারে দেখা দেবে।
গিলবার্ট বলেন,প্রতি শতাব্দীতে মহামারী দেখা গিয়েছিল এবং সেখানে প্রচুর আলাদা ফ্লু ভাইরাস রয়েছে আর এই কারণে আমরা কখনও ফ্লু নির্মূল করতে পারি না। তিনি বলেন, আমরা পক্সকে নির্মুল করেছি,সেই সাথে আমরা পোলিও নির্মুলের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি, আফ্রিকাতে এখন কোন পোলিও নেই। হমের মত যে রোগ ছিলো তাও নির্মুল হচ্ছে যদিও এর সাথে প্রাণীর কোন সম্পর্ক নেই।
তবে ফ্লু প্রচুর পরিমাণে পাখির মধ্যে রয়েছে এবং এ থেকে সংক্রামক রোগের সম্ভাবনা এখনো প্রবল।