যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদ কমেছে ৭০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ট্রাম্পের নিট সম্পদের পরিমাণ কমে এখন ২৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মূলত কোভিড-১৯ মহামারি তাঁর সম্পদের ওপর কঠিন আঘাত করেছে। করোনার কারণে লকডাউন পদক্ষেপ নেওয়ায় তাঁর অফিস ভবন, ব্র্যান্ডেড হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় আয় কমে যায়। পাশাপাশি তার উড়োজাহাজের বহর ও গলফ কোর্সের মূল্যও কমে গেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
বর্তমানে ট্রাম্পের সম্পদ ও পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে তদন্ত চলছে। ২০১৬ সালের মে থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্পের ব্যবসায়িক আর্থিক নথি ও অন্যান্য নথি বিশ্লেষণ করেছেন ব্লুমবার্গের বিশ্লেষকেরা।
ট্রাম্পের সম্পদের তিন–চতুর্থাংশ আসে তাঁর আবাসন ব্যবসা থেকে। করোনার কারণে বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় ব্যাপক লোকসানে পড়ে ট্রাম্পের ব্যবসা। তার মূল বাণিজ্যিক সম্পত্তি মূল্য ২৬ শতাংশ কমেছে বলে মনে করেন ব্লুমবার্গের বিশ্লেষকেরা। ট্রাম্পের নিজের নামে বা লাইসেন্স করা রয়েছে এক ডজন হোটেল ও রিসোর্ট এবং ১৯টি গলফ কোর্স। যদিও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাইরের খেলাধুলার ক্ষেত্রে করোনার সময় গলফ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তারপরও দুটি গলফ কোর্স থেকে ধারাবাহিক লোকসান হয় ট্রাম্পের।
একটি বোয়িং ৭৫৭-সহ উড়োজাহাজ বহরেরও মালিক ট্রাম্প। তবে এসব উড়োজাহাজ কয়েক দশকের পুরোনো এবং এগুলোর মূল্য কমে গেছে। ২০১৫ সালে সাতটি উড়োজাহাজের মূল্য ছিল প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মধ্যে পাঁচটির মূল্য ২০২০ সালে এসে ৬৫ লাখ ডলারে ঠেকেছে। কয়েক বছর ধরেই ট্রাম্পের উড়োজাহাজগুলোর দাম কমে যাচ্ছিল। পাশাপাশি বহরের কয়েকটি উড়োজাহাজ তিনি বিক্রি করে দেওয়ায় এ খাতে তাঁর সম্পদের পরিমাণও কমেছে।
এর মধ্যে গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অপরাধমূলক আর্থিক লেনদেনবিষয়ক এক অভিযোগের তদন্তকাজের জন্য তাঁর আয়কর ও করপোরেট ট্যাক্স বিবরণীসহ আর্থিক তথ্যাবলির অনুলিপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়া আয়কর ও করপোরেট ট্যাক্স কমানোর জন্য সম্পত্তির দলিলপত্রে নিজের সম্পদের তথ্য লুকানো এবং মূল্য কম দেখানোর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।