‘আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবনযাত্রার দিক থেকে বর্তমান সময়ের চেয়ে ভালো ছিলাম’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ফখরুলের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি মহাসচিব পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করেন। এ ধরনের বক্তব্যে পাকিস্তানপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। যা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, পাকিস্তান সরকার থেকে বর্তমান সরকার আরও নিকৃষ্ট। আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবনযাত্রার দিক থেকে এর চেয়ে ভালো ছিলাম। তারপরও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদ হরণ করত, সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আমরা আছি।
বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলটির চিরাচরিত রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতাবিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের পাকিস্তানপ্রীতি প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায়।
তিনি বলেন, পাকিস্তান পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যমে যখন বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হচ্ছে, তখন বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে তারা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর এখনো ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ মন্ত্র জপছে।
বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয়, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বলেও ম