স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতি মৌসুমেই ইউরোপিয়ান ফুটবলে ব্যস্ত সূচির মধ্যে খেলতে হয় ফুটবলারদের। আর এবার করোনাভাইরাসের কারণে সেই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে আরও বেশি। দুই মৌসুমের মাঝে যথাযথ বিরতি পায়নি দলগুলো। নিজেদের ঠিকঠাক বিশ্রাম না দিয়েই নতুন মৌসুমে খেলতে নামতে হয়েছে ফুটবলারদের। এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলা।
টানা খেলার কারণে ইনজুরিতে জর্জরিত ম্যানচেস্টার সিটি স্কোয়াড। অবস্থা এমন যে, কোনো ম্যাচের জন্য পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড গঠন করার মতো খেলোয়াড়ও নেই ম্যান সিটি কোচ গার্দিওলার হাতে। লিস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যান সিটির মূল দলের মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড় ফিট আছেন বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। যে কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই একাডেমির খেলোয়াড়দের নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সিটিজেন কোচ।
তবে এমন টানা খেলা যে ফুটবলারদের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ- সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন গার্দিওলা। তার ভাষ্য, ‘বাস্তবতা সবার জন্যই এক। শুধু ম্যান সিটির জন্য বলছি না, একই বিষয় অন্যান্য ক্লাব এবং জাতীয় দলের জন্যও প্রযোজ্য। কেউই খেলোয়াড়দের কথা ভেবে দেখে না। প্রত্যেকে নিজেদের ক্ষমতা ও অর্থের কথা ভাবে; প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা, ইএফএল-সবাই।’
নিজের জমানো ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড় প্রাক-মৌসুমে পেলো মাত্র দুই সপ্তাহ। আর এখন টানা ১১ মাস ধরে প্রতি তিনদিনে একটি করে ম্যাচ খেলতে হবে। এর বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা কোনোকিছুই বদলাতে পারব না। আমি বুঝতে পারছি যে এটা সবার জন্যই ব্যতিক্রমী একটা পরিস্থিতি। রেস্টুরেন্ট, থিয়েটার, সিনেমা, জাদুঘর- সবাই লড়াই করছে।’
‘আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। আমরা যা করছি তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং ভালো ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের তিনজন খেলোয়াড় জাতীয় দলের ম্যাচ খেলে চোট নিয়ে ফিরে এসেছে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তাদেরকে চারদিনে দুইটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। খেলোয়াড়রা তো নিশ্চয়ই মেশিন নয়।’
আজ (রোববার) রাতে লিস্টার সিটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি। দুইদিন বিরতি দিয়ে বুধবার বার্নলির বিপক্ষে তাদের খেলতে হবে ইএফএল কাপের ম্যাচ। এরপর আবার শনিবার নেমে পড়তে হবে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে, প্রতিপক্ষ লিডস ইউনাইটেড। এমন ব্যস্ত সূচির কারণে একাডেমির খেলোয়াড়দের দিয়েও ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন গার্দিওলা।
তার ভাষ্য, ‘এখন আমরা যেই অবস্থায় আছি, আমাদের একাডেমি থেকে খেলোয়াড় নিতে হবে। বর্তমানে আমাদের মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড় ফিট আছে। জ্যাসন উইলকক্স একাডেমির দায়িত্বে আছেন। তিনি আমাদের খেলোয়াড় দিয়ে সাহায্য করবে। মূলত এ কারণেই তো একাডেমি থাকে। যাতে প্রয়োজনের সময় আমরা একাডেমির খেলোয়াড় ব্যবহার করতে পারি। তবে খেলোয়াড়দের প্রতিভাও দেখতে হবে।’