ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দেবীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে গতকাল শনিবার রাতে পুত্র ও পুত্রবধূর শারীরিক নির্যাতনে সামছুল হক লাতু মিয়া (৮০) মৃত্যুবরণ করেছেন। এই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে বাচ্চু মিয়া রাতেই ফেনী মডেল থানায় সাইফুল ইসলাম, রিতা ও মেজ ভাইর স্ত্রী নাছিমা আক্তার পলির নামে মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুত্র সাইফুল ইসলাম ও পুত্রবধূ রিতা এখনো পলাতক আছেন।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিরোধের কারণে (সম্পত্তি ভাগাভাগি) সামছুল হকের চার ছেলে তাদের বাবার থেকে আলাদা হয়ে পরিবার নিয়ে থাকেন। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো। গতকাল শনিবার বিকালে কাঁঠাল কাটাকে কেন্দ্র করে সাইফুল ও রিতা তাদের বাবাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালগালাজ করলে তিনি প্রতিবাদ করেন।
এরপর তারা পিতা সামছুল হকের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। কিলঘুষি ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকলে বড় ছেলে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা এগিয়ে আসলে তারা তাকেও মারধর করেন। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে সামছুল হককে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন জানান, ‘আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ এছাড়াও ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদন সার্কেল) আতোয়ার রহমান জানান, ‘অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’