ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভার ২১ শে জুন ২০২১ এর নির্বাচনে পৌরবাসীর অনুরোধক্রমে আমি শেখ সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ মার্কা নিয়ে ডিজিটাল সোনাগাজী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে অংশ গ্রহন করছি।
আমি সেই শেখ সেলিম যিনি নব্বইয়ের দশকে সোনাগাজীতে যুবলীগের প্রথম ও সফল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সোনাগাজীতে আওয়ামী লীগের নিষ্ঠাবান ও অক্লান্ত পরিশ্রমীকর্মী বাহিনীকে সুসংগঠিত করে আমার সাংগঠনিক কৌশল ও অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে।
আমি শেখ সেলিম, আমার কিশোর বয়সেই হৃদয়ে রাজনীতির বীজ বুনে দিয়েছেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের আর্দশ ও নির্ভীক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে তার নীতি অনুযায়ী জীবন গঠন করে, আমি শেখ সেলিম কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। সমাজের সকল অন্যায়, অবিচার ও শোষনের বিরুদ্ধে আমি সর্বদাই একজন সামাজিক যোদ্ধা।
নব্বইয়ের দশকে যখন বাংলাদেশে আওয়ামী যুবলীগের সোনাগাজী শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন একটি রাতও নিশ্চিন্তে কাটাতে পারিনি। বিভিন্ন দিক থেকে হয়রানি ও হুমকির শিকার হতে হয়েছিল আমাকে এবং আমাদের আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীবাহিনীকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল। এতদ্বসত্তে¡ও আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হইনি। বরং স্বাধীনতা যুদ্ধের জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের মত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল আদেশ পালন করেছি। যার জন্য আমি ছিলাম সোনাগাজীসহ সমগ্র ফেনী জেলার নেতাকর্মীদের কাছে একটি অনুপ্রেরণার নাম।
ফেনী জেলার আওয়ামী লীগের সমন্বয়কারী বিচক্ষন ও নিষ্ঠাবান নেতা সাবেক এমপি আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জননেতা জয়নাল হাজারী আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ফেনী জেলার নৌকার হাল ধরা মাঝি। জননেতা জয়নাল হাজারী সাহেব হলেন ফেনী জেলার মুকুটহীন সম্রাট। যিনি বটবৃক্ষের মত আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মী তৈরি করে তাদের মাথার উপর ছায়ার মত ছিলেন দীর্ঘদিন। তার নেতৃত্বের অভাব আজ ফেনীবাসী অনুভব করছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধীনে ফেনীতে যে উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছিল তা আজ বাধাগ্রস্থ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ফেনী জেলা আরও অগ্রসর হতো যদি জয়নাল হাজারীর মত নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব ফেনীর নৌকার মাঝি হতো।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাঙ্গালি জাতির পিতা, উন্নত স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন সর্বজন গৃহীত আদর্শ নেতা এবং তার নেতৃত্বে কর্মী বাহিনীতে ছিলেন আদর্শবান তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও কামারুজ্জামানদের মত নিঃস্বার্থ বা আত্মত্যাগী নেতাগন। জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি হতে স্বয়ংসম্পূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাবে অচিরে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আজ বিশ্বকে বিম্মিত করছে। বিরোধীদল ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের একটি শক্তি সর্বদাই এই উন্নয়ন দেখে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে আর বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আওয়ামী লীগের মুখোশ পরে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি, উন্নয়নে বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ, লুটতরাজ জমি দখল ও দুর্নীতির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ কায়েম। এই সকল কার্যাবলী দলকে কুলসিত করছে। এই সকল দুর্নীতিবাজ ষড়যন্ত্রকারীরা হলো হাইব্রিড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব সারাদেশ থেকেই হাইব্রিডদেরকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হচ্ছে। অচিরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাইব্রিড মুক্ত হবে। ফেনী জেলার রাজনীতি ও পরিসংখ্যান পর্যালোচনার মাধ্যমে ফেনীবাসী এ সব ষড়যন্ত্রকারী, অর্থলোভী, উন্নয়নে বাধা সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করতে সক্ষম। যারা শূণ্য হাতে সাধারণ জনগনের আবেগকে পুঁজি করে মুখোশ পরে দেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে ক্ষমতার দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।
মাননীয় সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী তাঁর কোন এক বক্তব্যে বলেছিলেন “এক সময় আমার কাছে টাকা ছিল না, এখন আমার কাছে অনেক টাকা তাই আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।”আমি শেখ সেলিম নিজাম হাজারীর ভাষায় বলছি, টাকা থাকলে যদি কেউ কিছু না করতে পারে তাহলে আমি শেখ সেলিম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী ও ফেনী সোনাগাজীর ত্যাগী নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হব ইনশাআল্লাহ।
সোনাগাজীতে যুবলীগের প্রথম কমিটির প্রথম সভাপতি হওয়া স্বত্তে¡ও আমি শেখ সেলিমসহ তৎকালীন সময়ের ত্যাগী নেতাদের কেউই বর্তমান সোনাগাজী আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই অথচ এখনও আমার জনপ্রিয়তা সোনাগাজীতে এতটুকুও কমেনি এবং দিন দিন তা বৃদ্ধিই পাচ্ছে। যার প্রমান পাই ২০১৬ সালের নির্বাচনে। যখন সোনাগাজীবাসী আমাকে এক প্রকার জোর করেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দাঁড় করিয়ে দেয়। নৌকার পরাজয় হতে পারে ভেবে দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে মার্কা পাওয়ার পরও আমি তৎকালীন নৌকাসমর্থিত মেয়র প্রার্থী খোকনকে সমর্থন করেছিলাম সাংসদ নিজাম হাজারীর অনুরোধে। যার কারণে সোনাগাজী পৌরবাসী মনে দারুন কষ্ট পেয়েছেন। মেয়র হিসেবে জয়লাভ করে খোকন বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও লুটতরাজ চালিয়েছেন সোনাগাজীতে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার ভ‚মি দস্যুতা, সন্ত্রাসবাদের খবর ফলাও ভাবে প্রচার হয়েছে। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দের অর্থও তিনি আত্মসাৎ করেছেন এবং কিছু উর্দ্ধতন নেতাকে ভাগ বাটোয়ারা দিয়েছেন বলে সোনাগাজীবাসীর মধ্যে সমালোচনা শোনা যায়। যা বাস্তবে প্রমাণ পাওয়া যায় খোকনের বর্তমান সম্পদ ও মেয়র হওয়ার পূর্ববতী সম্পদের হিসাব হতে।
সোনাগাজীবাসী আজ হতবাক এই ভেবে যে, মেয়র হওয়ার পূর্বে এই খোকন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সোনাগাজীতে কখনও সক্রিয় ছিলেন না। দলের দুর্দিনে তাকে কখনও সক্রিয় ভ‚মিকায় সোনাগাজীবাসী দেখেননি। তাহলে কিভাবে তিনি দলের সমর্থন পেয়ে নৌকার মাঝি হলেন? হ্যাঁ, এটা সম্ভব হয়েছে একটা গোষ্ঠির অর্থ আয়ের সুপরিকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। যার সাথে উর্ধ্বতন নেতার হাত রয়েছে বলে প্রতীয়মান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ফেনী জেলাকে ডিজিটাল ফেনী হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতনদের মধ্যে পরিবর্তন আনা দরকার বলে ফেনীবাসী আজ দাবি করছে। জয়নাল হাজারীর মত ত্যাগী নেতার নেতৃত্বই তাদের কাছে আজ কাম্য। একজন ত্যাগী ও আদর্শ নেতার নেতৃত্বে কখনও খোকনদের মত দুর্নীতিবাজ হাইব্রিড পরগাছাদের জন্ম হতে পারেনা। জয়নাল হাজারীর মত দেশপ্রেমী আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও যোগ্য নেতার কাছে ষড়যন্ত্রকারী হাইব্রিডদের কোন স্থান কখনও হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না বলে সোনাগাজীসহ সমগ্র ফেনীবাসী মনে করে।
জনাব নিজাম হাজারীর অনুরোধে বিগত ২০১৬ সালের নির্বাচনে আমি শেখ সেলিম ছদ্মবেশধারী দুর্নীতিবাজ খোকনকে সমর্থন করেছিলাম যার কারণে দীর্ঘ পাঁচটি বছর খোকন ও তাঁর পন্থার আড়ালে থাকা নির্দেশ করা সোনাগাজীতে সন্ত্রাসবাদ, মাদক বাণিজ্য, ভ‚মি দস্যুতা, অর্থ আত্মসাৎ ও জুলুম নিপিড়ন চালিয়ে সোনাগাজী পৌরবাসীকে নরকের জ্বালা ভোগ করিয়েছেন। তাই এবার এই হাইব্রিড অনুসারীদের থেকে রক্ষা পেতে পৌরবাসী আবারও আমি শেখ সেলিমকে সমর্থন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। সোনাগাজী পৌরবাসীদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় আমি আবেগাপ্লুত।
সোনাগাজীর পৌরবাসীর অধিকার নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিব না। সোনাগাজীর জনগন যোগ্য নেতৃত্বের হাতে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের কান্ডারির দায়িত্ব অর্পন করতে চায়। এ ক্ষেত্রে যদি কোন উদ্ধর্তন পক্ষ ভূল করেও সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজকে সমর্থন করে সন্ত্রাসবাদ কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেনী জেলাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে, তাহলে সমগ্র ফেনীতে জেলা রাজনীতিতে আমি শেখ সেলিম সক্রিয় হয়ে জনগনকে সাথে নিয়ে যোগ্য নেতাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেনী জেলার স্বর্ণ পালক সুশোভিত মুকুট পরাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাব ইনশাল্লাহ।