বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং নিয়ে বড় দুশ্চিন্তা দেখা দিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবথেকে কম রানে পাঁচ উইকেটে হারানোর লজ্জা আরও বাড়লো প্রোটিয়াদের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার দখলেই সেই লজ্জাজনক রেকর্ড ছিল। ২০০৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার তারা ৫ উইকেট হারালো ৯ রানেই।
বুধবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় বোলারদের তোপে মাত্র ২.৩ ওভারেই ৯ রান ৫ উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। তিনটি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। দুটি উইকেট দীপক চাহারের। আউট হন টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক, রাইলি রুশো, ডেভিড মিলার এবং ত্রিস্তান স্টাবস।
থিরুভানান্তাপুরামে এদিন অনবদ্য ফর্মে ছিলেন ভারতীয় বোলাররা। প্রথম থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের ভিত আড়িয়ে দেন অর্শদীপরা। প্রথম ওভারেই আউট হন বাভুমা। দীপক চাহারের বলে বোল্ড হয়ে দলীয় ১ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্রোটিয়া দলপতি। ৪ বল খেলে একটি রানও তিনি করতে পারেননি।
১.২ ওভারে পতন ঘটে কিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি ককের উইকেটের। দলগত এক রানেই পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। চার বলে ১ রান করে অর্শদীপের বলে বোল্ড হন ডি কক। ওভারের পঞ্চম বলে নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়া বাহিনী। আউট হন রাইলো রুশো। অর্শদীপের প্রথম বলেই তিনি রিশাভ পান্তের তালুবন্দী হন।
ওই ওভারের শেষ বলেই মারকুটে ব্যাটার ডেভিড মিলারকেও আউট করেন আর্শদীপ। মিলারও তার ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান। ২.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের পঞ্চম উইকেটটি হারায়। দলীয় ৯ রানের মাথায় আউট হন ত্রিস্তান স্টাবস। চাহারের বলে আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ফলে মাত্র আড়াই ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে লজ্জার নজির গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।