শেষ দুই মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি। সেই লেভা এই মৌসুমে ক্লাব ছেড়ে গেছেন। তবে তার অভাবটা বুঝতেই পারল না বায়ার্ন মিউনিখ। মৌসুম শুরুর ম্যাচে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের জালে গুণে গুণে জড়িয়েছে ছয় গোল। ৬-১ ব্যবধানের বিশাল জয় দিয়ে বুন্ডেসলিগা মৌসুম শুরু করেছে দলটি।
আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ভক্তদের পাগলামির নমুনা গেল মৌসুমেই দেখেছিল ইউরোপ। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে যে তাদের মাঠেই ‘নিজভূমে পরবাসীর’ অনুভূতি দিয়েছিলেন তারা! এরপর মাঠের খেলাতে বার্সাকে হারিয়ে তাদের দল চলে যায় ইউরোপার সেমিতে, পরে জিতে নেয় শিরোপাও।
সেই ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকরা নিজেদের মাঠ ডয়েশ ব্যাঙ্ক পার্কে ম্যাচের শুরুর আগে থেকেই ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে রেখেছিলেন গ্যালারিতে। যার ধোয়া চলে এসেছিল মাঠেও।
৫ মিনিটে বায়ার্ন যে প্রথম গোলটা জড়াল স্বাগতিকদের জালে, তাতে খানিকটা দায় ছিল তারও। জশুয়া কিমিখের ফ্রি কিকটা যে ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ চোখেই দেখেননি ঠিকঠাক! তবে বায়ার্ন এর মিনিট ছয়েকের মধ্যেই বেঞ্জামিন পাভার্ডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জানান দিচ্ছিল, মাঠে ধোয়া চলে না এলেও জিততে কোনো সমস্যাই হতো না তাদের।
লিভারপুল থেকে এই মৌসুমেই দলটিতে পাড়ি জমানো সাদিও মানে বায়ার্নের আনুষ্ঠানিক অভিষেকে গোলের দেখা পেয়েছিলেন। পেলেন বুন্ডেসলিগা অভিষেকেও। ম্যাচের তখন আধঘণ্টাও পেরোয়নি, সের্জ গেনাব্রির ক্রস থেকে দারুণ এক হেডারে তার করা গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শিরোপাধারীরা।
বিরতির আগেই আরও দুই গোল আসে বায়ার্নের। গোলদুটো করেন জামাল মুসিয়ালা আর গেনাব্রি। তাতেই ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধে একটা গোল অবশ্য ফেরত দিয়েছিল স্বাগতিকরা। র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির গোলে ব্যবধানটা ৫-১ করে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। তবে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে মুসিয়ালা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করে পাঁচ গোলের ব্যবধানটা ফিরিয়ে দেন বায়ার্নকে। ব্যাভারিয়ানরা ম্যাচ শেষ করে ৬-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে।