রাজধানী ঢাকায় ফ্ল্যাট বিক্রি বাবদ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা এক চক্রে বেশ সক্রিয় হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার লালকুঠি বাজার, মাজার রোড, মিরপুর ১ এ বসবাসকারী মিসেস নাজলী জামাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি বর্তমানে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত এবং নিয়মিত কেমোথেরাপি গ্রহণ করছেন। রাজনীতি নুরুদ্দিন ও রানা গংয়ের অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মিসেস নাজলী জামাল এর ভাই শাহরিয়ার জামাল এর মাধ্যমে এই নুরুদ্দিন ও তার ভাতিজা রানা প্রতারক চক্রের সাথে পরিচয় হয়। তারা নাজলী জামালকে তাদের ফ্ল্যাট বন্ধক নেওয়ার মাধ্যমে এবং তারাই মাসিক ৩৫ হাজার টাকা ভাড়া নেয়ার প্রস্তাব দিলে নাজলী জামাল নগদ ১০লাখ টাকার বিনিময় বংশাল থানা ধীন৬৪/১/বি সিদ্দিক বাজার হোল্ডিংস্ত ৮ম তলার সম্পন্ন ফ্লোর যার চার ব্যক্তি ডাইনিং একটি ড্রয়িং রুম রয়েছে। বন্ধক রাখে তিন বছর মেয়াদী চুক্তিতে। কিন্তু ছয় মাস অতিবাহিত হবার পর কোন ভাড়া পরিশোধ না করা নাজলী জামালের সন্দেহ থাকলে তিনি এসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানান। এমতাবস্থায় প্রতারক চক্রটি ফ্ল্যাট বিক্রি করার প্রস্তাব দিলে রাজনীতি আমার কোনো উপায়ান্তর না দেখে ধারণার মাধ্যমে চেকের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে। এর পরেও এই প্রতারক চক্র ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো নাজলী জামালের ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বংশাল থানায় সেই সাথে নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাতে শুরু করেন।নাজলী জামাল ফ্ল্যাট বুঝে নিতে যেতে চাইলেও তাকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেয়নি। পরবর্তীতে নাজলী জামাল জানতে পারে ফ্ল্যাটটি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। টাকা ফেরত এর জন্য চাপ সৃষ্টি করলে রানা ও নুরুদ্দিন গং আত্মগোপন করে থাকে। ইতিমধ্যে নাজলী জামাল বংশাল থানা একটি জিডি করেছেন যার নাম্বার ৯৯১ এবং আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাজলী জামাল গণমাধ্যমে কথা শোনা বলার সময়ে হাতজোড় করে কান্নারত অবস্থায় বলেন আমার সব শেষ আমাকে বাঁচান। বর্তমান সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ আইন-শৃংখলার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমাকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করে আমার ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ দেন। আমি ক্যান্সার রোগী তাই মৃত্যুর আগে পাওনাদারদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে যেতে চাই।,