মাদকের চোরাচালান হচ্ছে বইয়ের মাধ্যমে। বেছে নেয়া হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস। বইয়ের মলাটে গাঁজার একটি চালান আটকের পর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন এসব তথ্য। চালানটি বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনে যাওয়ার কথা ছিল। মাদক উদ্ধার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, জড়িতদের খুঁজে পেলে বেরিয়ে আসবে বিদেশে মাদক চোরাচালানের সিন্ডিকেট।
কুরিয়ারে বই পাঠানো হবে বাহরাইনে। গোয়েন্দাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল- এ বইগুলোর ভেতরে গাঁজার একটি চালান পাচার হচ্ছে। পরে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে উদ্ধার করা হয় বইগুলো।
বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা খুঁজে দেখা গেল, কোথাও নেই মাদকের অস্তিত্ব। তবে কি তথ্যে গরমিল? বইগুলো উল্টেপাল্টে মাদক খোঁজার চেষ্টা গোয়েন্দাদের। সন্দেহ হয় মলাটে।
এবার বইয়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো মাদক। পাঁচটি বই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর কথা ছিল বাহরাইনে। প্রতিটি বইয়ের দুপাশের মলাটের ভেতর ঢোকানো হয়েছে গাঁজা, যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়া যায়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
মলাট খুলতেই পাওয়া গেল গাঁজার সন্ধান। বইয়ের মলাটে গাঁজা ঢুকিয়ে এমনভাবে আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো হয়েছে যেন বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
পুলিশ বলছে, মাদকের এই চালানটির উৎস খুঁজছেন তারা। বাহরাইনে একজনের নাম-ঠিকানাও পাওয়া গেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এটা কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে আসলে স্ক্যানিং করে সংশ্লিষ্টরা দেখতে পান যে, সন্দেহজনক কিছু আছে। এরপর তারা গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ মাদক উদ্ধারের টিম লিডারকে বিষয়টি জানান। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রায় আধা কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।
মশিউর রহমান বলেন, কয়েকটি বইয়ে করে মাদক বাহরাইনে পাঠাতে চেয়েছিল চক্রটি। বাহরাইনে গাঁজা পাওয়া যায় না। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশল অবলম্বন করে গাঁজা পাঠানো হচ্ছিল। সেখানে এসব মাদক চড়া মূল্যে বিক্রি অথবা নিজেরা সেবন করতে এভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাহরাইনের একজনের নাম-ঠিকানা পেয়েছি। বাংলাদেশের লোকজনও সন্দেহজনক কিছু নাম-ঠিকানা দিয়েছে। তাদেরকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা সফল হতে পারব।’
এর আগেও নির্দিষ্ট এ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেই দেশের বাইরে মাদকের চালান গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।