বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান (৪০) এবং মিজান হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে ল্যাদো নামে এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজান বগুড়া সদরের গোকুল উত্তরপাড়ার গ্রামের মৃত আফছার আলী সাকিদারের ছেলে। তবে ল্যাদোর বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে মিজান তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে গোকুল বন্দরে গোডাউন এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত সোয়া ৯ টার দিকে দুর্বৃত্তরা ১০-১২ টি মোটরসাইকেল নিয়ে মিজানকে ঘিরে ফেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক মাস আগেও তাকে হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছিল।
এদিকে মিজান হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ নিহতের স্বজনরা এবং স্থানীয় লোকজন ল্যাদো নামের এক যুবককে গণপিটুনী দিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা নিহত মিজানের স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন পুলিশ এবং হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে জরুরী বিভাগে প্রবেশ করে ল্যাদো পিটিয়ে সেখানেই হত্যা করে। এ সময় যমুনা টিভি বগুড়া ব্যুরো মেহেরুল সুজনসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক উত্তেজিত লোকজনের মারপিটের শিকার হন। সাংবাদিকদের মারধর ছাড়াও তারা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, দুজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিকটীম কাজ করছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।