শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলার খামারকান্দি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার উদ্যোগে “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন ” এর উদ্বোধন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি সোহাগ রায় সাগরের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী। এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বন গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিভাগীয় কর্মকর্তা (অবঃ) রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি সবুজ চৌধুরী ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা।এছাড়া খামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মমিনসহ পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়ে জানানো হয় আমাদের সেচ্ছাসেবী তাদের এই সংগঠনের কাজের একটি বড় অংশ বৃক্ষ রোপণ করা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষের বিকল্প নেই। প্রতিবছর সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বৃক্ষরোপন করে থাকি। এবছর ও বৃক্ষ রোপণের অংশ হিসেবে “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন” করা হচ্ছে। স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশনের আওতায় দেশীয় প্রজাতি বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করতে, তাদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। সহযোগিতা পেলে এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে।
স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণ ও ছড়িয়ে দেওয়া। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অগোছালোভাবে গাছ লাগিয়ে থাকে। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না থাকার কারণে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। এতে উজার হয় হাজার হাজার পূর্ণ বয়স্ক বৃক্ষ। সমসাময়িক জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুঃসময়ে ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে, হাজার হাজার কাটার আবেদন আসছে। রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশের গুরুত্ব বোঝাতে আমরা সেচ্ছাসেবীরা পরিকল্পিতভাবে এই “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন ” কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় গাছের চারা রোপণ শুরু করা হয়েছে। যেন বিদেশি প্রজাতির সমাহারে দেশীয় প্রজাতি হারিয়ে না যায়।
এই অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বন বিভাগের রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় প্রজাতির ফুল, ফল,ঔষধি ও কাষ্ঠল গাছ লাগানো হবে। এগুলোর মধ্যে থাকবে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, বকুল, নিম, জয়তুন, নারিকেল, জলপাই, আমড়া, অর্জুন, লটকন ইত্যাদি । এতে শিক্ষার্থীরা দেশীয় প্রজাতির সাথে পরিচিত হবে এবং সংরক্ষণে এগিয়ে আসবে। এছাড়াও দেশীয় প্রজাতির এই গাছ গুলোতে বন্যপ্রাণীরা খাবার ও বাসস্থান পাবে। এতে স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন সমগ্র জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।