মমিন রশীদ শাইন বগুড়াঃ
প্রতিবছর বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবস আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে সারাদেশে জমে ওঠে ফুলের বাজার। তবে এ বছর একটু আগেভাগেই বগুড়ায় শুরু হয়েছে ফুলের বাণিজ্য। ভিড় বেড়েছে দোকানগুলোতে। হঠাৎ দাম বাড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে গোলাপের।
ফুলের রানি গোলাপের কদর বাড়ে পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে। তবে এখনও এই দিবসের বাকি ১ দিন। এর মধ্যেই উত্তরের এ জেলায় জমে ওঠেছে গোলাপের বেচাকেনা। বিক্রি হচ্ছে ৫ গুন বেশি দামে। কয়েকদিন আগেও যে গোলাপ বিক্রি হত ১০ থেকে ১৫ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, তাও কিছু জাতের গোলাপ পাওয়া যাচ্ছে না। হলুদ গোলাপ প্রতি পিছ ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বগুড়া শহরের বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য ফুলের তুলনায় গোলাপের চাহিদা বেশি। বিক্রেতারাও দাম হাঁকছেন কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১৮/২০ টাকা এবং চন্দ্রমল্লিকা ১০-১২ টাকা করে।
শহরের করতোয়া ফুল ঘরে কথা হয় স্কুলছাত্র নিশাতের সঙ্গে। তিনি জানান, গোলাপ ফুলের দাম তুলনামূলক বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। একটি গোলাপ তিনি নিয়েছেন ৪০ টাকা দিয়ে।
একই দোকানে একটি ফুলের তোড়া কিনেন ইকবাল বাহার। তিনি বলেন, প্রায় সময়ই তোড়া কিনতে হয়, কিন্তু এবার কিনতে হলো অনেক বেশি দামে। অন্য সময় যেটার দাম ২৫০ টাকা ছিল, সেটা আজ ৪০০ টাকা। তাও আবার তোড়ায় গোলাপের সংখ্যা খুবই কম।
আপন ফুল ঘরের স্বত্তাধিকারী ফুলবিক্রেতা মোখলেছর রহমান বাটু বলেন, হঠাৎ করেই ফুলের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রচুর ফুলের চাহিদা। এ ছাড়া সামনে বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারী।
পুষ্পিতা ফুল ঘরের ফুলবিক্রেতা গোলাম রব্বানী বলেন, কয়েকদিন আগেও গোলাপ ১০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন চলবে।