গত ৫০ বছরে কংগ্রেস এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা সম্পন্ন করলেন। তিন দশকের বৈদেশিক সম্পর্ক, রাজনীতি ও ভারতের জাতীয় ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থেকে জয়তী মালহোত্রা তার কলামে বলেছেন গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে মোদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তা এক বিরাট দায়িত্ব পালন বটে যা কংগ্রেস করতে পারেনি। দি প্রিন্ট
কৌশলগত সম্পর্ক বিষয়ক এই সম্পাদক বলছেন মোদি পরিস্কারভাবে দেখিয়ে দিলেন ঘরোয়া রাজনীতির কারণে তিনি তার বৈদেশিক নীতির বিসর্জন দেননি। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মোদির এ সিদ্ধান্তকে কৃতিত্ব দেয়া যায়।
মালহোত্রার অভিমত- মুজিবকে এ পুরষ্কার দেওয়া কিছুটা তাৎপর্যপূর্ণ। মোদী বাংলাদেশি রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরাধিকারের দাবিই রাখছেন একই সঙ্গে চলমান আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের বিতর্কিত জাতীয় নিবন্ধক ও নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরলেও তা মেরামত করে নিলেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০ বছর চলে গেলেও ভারত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কখনো গান্ধী শান্তি পুরস্কার বা জওহারলাল নেহেরু পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবেনি। যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু চার বছর জীবিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা গেলে সে বছর জওহারলাল নেহেরু পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় মার্কিন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ জোনাস সাল্ককে যিনি পোলিও ভ্যাকসিন আবিস্কার করেন।
গান্ধী শান্তি পুরষ্কার ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার, যার নগদ মূল্য এক কোটি রুপি এবং নেহরু পুরষ্কারের মূল্য ২৫ লাখ টাকা। উভয় পুরষ্কার প্রাথমিকভাবে বিদেশিদের দেওয়া হলেও, এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে – গান্ধী শান্তি পুরষ্কার অক্ষয় পত্র ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি আরএসএস পরিচালিত একাল বিদ্যালয় সংস্থা উভয়কেই দেওয়া হয়েছে।