স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ নেতৃত্বকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এই অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। আলোচনায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, হুইপ মো. ইকবালুর রহিম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপ্ন, উপ-সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, কর্মচারী আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমুখ।
সভায় স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রতি ভালবাসা। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। তিনি আরো বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম পদক্ষেপ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে সকল সূচক পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দেশ উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল, রেমিট্যান্স থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই ৭মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে যুদ্ধ জয় করে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। একটি অনন্য সংবিধানও উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশালত্ব দিয়ে সকল নেতা-কর্মীকে ভালবাসতেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতেন। এরই ফলশ্র“তিতে তিনি মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। স্বাধীন না হলে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কোন পদেই বাঙালিরা অধিষ্ঠিত হতে পারতেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। পরবর্তীতে, বঙ্গবন্ধুর চৌকষ নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেলে স্বাধীনতা আরো অর্থবহ হয়ে ওঠে।