শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছেন। তিনি কখনো কোনো বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেননি। যখনই তিনি কোনো কাজ করেছেন, তখনই বুদ্ধিজীবীসহ অন্যান্য সেক্টরের যারা আছেন তাদের মতামত নিয়েছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন।
আজ বুধবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘৬ দফা : বাঙালির মুক্তির সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ হাসিনা অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে তিনি সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময়ের মতো এখনো ভেতরে-বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের ভেতরে কিছু মানুষ আছে যারা ষড়যন্ত্র করছে কীভাবে আমাদের বাধাগ্রস্ত করা যায়। বিদেশেও কেউ কেউ আছেন যারা চেষ্টায় রয়েছেন কীভাবে একটি দেশের স্বাধীনতা স্পৃহা, দেশের এগিয়ে চলা, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাকে দমন করা যায়।
তিনি বলেন, ৭ জুনের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার বিষয় আছে। আজকে আমাদের অবিচল থাকতে হবে, আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের স্বাধীনতার যে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সে বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়ে কারো বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করেছেন। ছয় দফা হলো স্বাধীনতার মূল মন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর আত্মপ্রত্যয়ী ছিল বাঙালিরা যেমন ছয় দফাকে সমর্থন করবে, ঠিক তেমনি পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের মানুষ যেন ছয় দফাকে সমর্থন করবেন। কারণ ছয় দফা প্রতিটি মানুষের মুক্তির সনদ। এটি শুধুমাত্র বাঙালির মুক্তির সনদ নয়। এটি পৃথিবীর সব মানুষের সনদ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকারসহ আরও অনেকে।