সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসেনানী। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলেন যে- বাঙালির ভাষার ওপর আঘাত আসতে পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ছিলো জাতির পিতার অপরিসীম দরদ ও শ্রদ্ধাবোধ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’-এর ডাকা ধর্মঘটে তিনি গ্রেফতার হন। ভারত বিভক্তির পর তিনিই পাকিস্তানের প্রথম রাজবন্দি। পরবর্তীতে কারাগারে থেকেও তিনি এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।
পরে তিনি একাডেমিতে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উত্তরায়ণ একাডেমি ও বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উত্তরায়ণ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শিল্পী লিলি ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তৃব্য দেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রিয়াংকা হালদার শিখা।