চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলে যানবাহন পারাপারে ৩০ দিনে চার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্র্যাফিক) তানভীর রিফা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে ৪ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী বলেছেন, টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ৭০৪টি যানবাহন চলেছে। আর দিনে গড়ে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৬৮ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার যানবাহন চলাচলের টার্গেট রয়েছে। তবে গত এক মাসে একদিনও ওই পরিমাণ গাড়ি পার হয়নি। শুরুতে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটিতে দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়ির জন্য ২শ টাকা এবং বহরে থাকা ২০টি গাড়ির জন্য চার হাজার টাকা টোল দেন। এরপর ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
টানেল পাড়ি দিতে প্রাইভেটকার ও পিকআপ ২শ, মাইক্রোবাস ২৫০, বাস (৩১ সিটের কম) ৩শ, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪শ, বাস (৩ এক্সেল) ৫শ, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪শ, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫শ, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬শ, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮শ, ট্রাক ও ট্রেইলারকে (৪ এক্সেল) এক হাজার টাকা টোল দিতে হয়। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল আদায় সম্পন্ন হচ্ছে। টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।