আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছিল।
আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বঙ্গবন্ধু আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক, রশিদ, মাজেদরা মিডিয়ায় নিজেদের সাক্ষাৎকারে বলেছে। জড়িত ছিল বলেই খুনিদের পুনর্বাসন ও বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতেই জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানে পাশ কারে দায়মুক্তির বিধান করে। আমরা বুঝতে পারি না, ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরীক্ষিত এই সত্যকে বিএনপি অস্বীকার করে কীভাবে?
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে থাকা খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা, হায়দারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করে।
‘১৫ আগস্ট নিয়ে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি জানতে চাই, মির্জা ফখরুল এই খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল? বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে কে পুরস্কৃত করেছিল? খুনিদের বিচার না হয় সেজন্য মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত কে করেছিল? এর জবাব আপনাদের দিতে হবে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলেই আপনাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। ইতিহাসের সত্যকে আপনাদের ভালো লাগে না। তবে একটা কথাই সত্য যে, সত্য জাতির কাছে চাপা দিয়ে কারো কোনো লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের এই ভূমিকাকে ১৫ আগস্টের খুনিদের এসব সুবিধা কে দিয়েছিল? বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই জবাব চায়।
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে হত্যা ও বিচারহীনতার রাজনীতি পরিপুষ্ট হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করে হাওয়া ভবনে তারেক রহমান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল এদেশের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্টের সর্বশেষ সংযোজন। আমি বলব, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনৈতিক যে বন্ধন, সেখানে উচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল ২১ আগস্টের হামলার মধ্য দিয়ে। এটাই সত্য।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শুভবোধ আছে। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শেখ হাসিনা প্রতিশোধ পরায়ন নয়, প্রতিহিংসা পরায়ন নয় বলেই উদার চিত্তে মানবিক হয়ে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। বিএনপি আন্দোলন করে খালেদা জিয়ার জন্য ৫০০ লোক নিয়ে একটা মিছিল করতে পারেনি। আজ এই দাবি ফখরুল করতে পারবেন না খালেদা জিয়াকে তারা লড়াই করে মুক্তি দিয়েছেন। শেখ হসিনাই তাকে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন।