1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

বছরের পর বছর ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

নুরুল ইসলাম নাহিদ, কালিয়াকৈর গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের অধিকাংশ স্থানেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের মাঝে এক থেকে দেড় ফুট গর্ত হওয়ায় হাঁটুপানি জমে থাকছে। এতে ওই সড়কে যানবাহনের চালক ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়কটিতে ১০ বছর আগে কিছু সংস্কারকাজ করা হয়েছিল। এর পর আর সংস্কার না করায় সড়কটি এখন বেহাল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে সংস্কারকাজ বা খানাখন্দ ভরাটের আবেদন করা হলেও সাড়া মেলেনি। এ সড়কের দুই পাশে পোশাক তৈরির কারখানা, ইটের ভাটাসহ কয়েকশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের মালপত্র আনা-নেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় সড়কের মাঝেই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় দীর্ঘ যানজটে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
গত শনিবার কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগের চিত্র।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুরের দিকে একটু এগিয়ে গেলেই হাতের বাঁ পাশে চোখে পড়ে কোনাবাড়ী থানা। সেই থানার সড়কের সামনেই কয়েক ফুট পানি জমে রয়েছে। কাদাযুক্ত পানির মধ্য দিয়েই অটোরিকশা, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে।
এ সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশাচালক লেবু মিয়া বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে উপার্জন করছেন। মনে হয়, এখানে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। বছরের পর বছর এই সড়ক বেহাল পড়ে রয়েছে।
কথা হয়, পোশাক তৈরির কারখানার নারী শ্রমিক জরিনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। এ সময় বড় ছোট অনেক যানবাহনে চলাচল করায় মানুষ হেঁটে চলাচল করতে পারে না। যানবাহনের চাকা ময়লা পানিতে পড়ে তা ছিটকে এসে শরীরে পড়ে। এ সড়ক অতিক্রম করার সময় পুরুষরা তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত উঁচু করে যেতে পারলেও নারীদের সালোয়ার কাদাযুক্ত পানিতে ভিজিয়েই যেতে হয়।

সাগর মিয়া নামের এক মুদি দোকান ব্যবসায়ী বলেন, বৃষ্টি হলেই সড়কের হাঁটুসমান পর্যন্ত পানি জমে মানুষ চলাচল করতে পারে না। মাঝেমধ্যে অটোরিকশা উল্টে অনেকে আহত হন। জনপ্রতিনিধির কাছে বহুবার তারা ভাঙা সড়ক সংস্কার করার জন্য জানালেও সাড়া পাননি।
এ সড়কের জিতার মোড় এলাকায়ও একই চিত্র চোখে পড়ে। এখানকার কয়েকজন কলেজছাত্রী বলেন, কোনাবাড়ী-কাশিমপুর সড়কটি এতই খারাপ যে, ছোট যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করায় সময়মতো তারা ক্লাসে যেতে পারেন না।
এ বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রহমান বলেন, সড়কটি ৬০ ফুট করতে দুই বছর আগে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ এসেছে। জমি অধিগ্রহণ করা হলেই সড়কের কাজ ধরা হবে। তবে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি সড়কটির সংস্কারকাজ উদ্বোধন করলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এই সড়কে যেখানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে কোরবানির ঈদের আগেই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে বলে প্রত্যাশা তাঁর।
কোনাবাড়ী-কাশিমপুর জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এস এম সামছুর রহমান জানান, তিনি এক মাস ধরে অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন। কী কারণে এ সড়কের কাজ শুরু হচ্ছে না, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না। সুস্থ হয়ে অফিসে যোগ দিয়ে বিষয়টা জেনে বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি