বিভিন্ন ধরনের নীতি-সহায়তা দেওয়ার পরও এক বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে, মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ৭০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণের শতাংশ বিশ্লেষণে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের হার ২১ শতাংশ, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের হার ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এদিকে, ধাপে ধাপে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে।