পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, বনের উপর সরাসরি নির্ভরশীলতা হ্রাসসহ বনজ সম্পদ উজাড় রোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী রোববার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল’ চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) জাকিয়া আফরোজ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৮টি বিভাগের ২৮টি জেলার ১৬৭টি উপজেলায় অবস্থিত ২৬টি বন বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে তিন ধরণের ল্যান্ডস্কেপে ৩২ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সকল বনায়নের মাধ্যমে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধির এ উদ্যোগ সার্থক করার জন্য সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত বন নির্ভর মোট ৪০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে সুফল প্রকল্প থেকে ৪২ হাজার টাকা ঘূর্ণায়মান জীবিকা উন্নয়ন তহবিল হিসাবে প্রদান করা হবে।