সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক সেলিম সাত্তারের যাতায়াত ছিল বিভিন্ন দেশে। এই সুবাদে নিত্যনতুন মাদকের সঙ্গে পরিচয় তার।এসব মাদক দেশেও নিয়ে আসতেন, আর রাত হলেই অভিজাত এলাকার নিজ ফ্ল্যাটে বসাতেন আসর।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বনানীর ১১ নম্বর রোডের বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ সেলিম সাত্তারকে (৬১) গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
গ্রেফতার সেলিম সাত্তার সামাহ রেজার ব্লেডস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের (সাবেক বলাকা ও সার্প ব্লেডস কোম্পানি লি.) পরিচালক।
এ সময় তার বাসা থেকে ৩০ গ্রাম কোকেন, ১৮৫ পিস এমডিএমএ, দুই বোতল বিদেশি মদ, ১২৫ গ্রাম কুশ, ২৯ ব্লটার এলএসডি, ৩০০ গ্রাম গাঁজা, পাঁচ গ্রাম আইস, ৭০০ গ্রাম সীসা ও সীসা সেবনের দু’টি হুক্কা, ১৬০ গ্রামের একটি গাঁজার কেক ও নগদ এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, সেলিম সাত্তার সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের সুবাদে তিনি বিভিন্ন মাদক সম্পর্কে অবগত হন। দীর্ঘদিন ধরে সেসব মাদক সেবনের পাশাপাশি তার বন্ধুমহলকে সরবরাহ করে আসছিলেন। বিশেষ করে বিভিন্ন পার্টিতে মাদক সরবরাহের জন্য তিনি এগুলো সংগ্রহ করেন।
সেলিম সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে তিনি জানান, সেলিম নেদারল্যান্ডের আর্মস্টাডার্ম থেকে এলএসডি ও এক্সটাসি, স্পেনের বার্সিলোনা থেকে কোকেন, আমেরিকা থেকে কুশ আর স্থানীয়ভাবে আইস ও ক্যানাবিস চকলেট ও বিদেশি মদ সংগ্রহ করতেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। যেগুলো বিশ্লেষণ করে এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রাশেদুজ্জামান।
গ্রেফতার সেলিমের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।