স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কারাগারে নারীর সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় জড়িতরা বিধি অনুযায়ী শাস্তি পাবে। শনিবার একটি জাতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হলমার্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেছে। ৬ জানুয়ারি কারাগারের সিসি ক্যামেরায় এ চিত্র ধরা পড়ে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়ার পর কারা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কারাগারের প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। এর পর তিনি ডেপুটি জেলারের কক্ষে আসেন। ডেপুটি জেলারের কক্ষ থেকে দুই কারা কর্মকর্তা কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক নারী ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে তুষার ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন এবং সেই দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। ওই নারী তুষার আহমদের স্ত্রী বলে কারা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ঘটনা তদন্তে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ১২ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আর ২১ জানুয়ারি তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।