1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ব্যাংকিং ব্যবসা!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

দেশের বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ ব্যাংকিং কার‌্যক্রম বন্ধ করতে সম্প্রতি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে।

জানা গেছে, এই কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের বিভিন্নস্থানে গজিয়ে ওঠা অবৈধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারা অনুযায়ী ব্যাংক ব্যবসার লাইসেন্স না নিয়ে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করলে ৭ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সম্প্রতি গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর কাজী ছাইদুর রহমানকে এবং সদস্য করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক ও পাঁচজন মহাব্যবস্থাপককে (জিএম)।

কমিটির সদস্যরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এর মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (ডিভিশন-১) মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম ও ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মুনীর আহমেদ চৌধুরী।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠনের তথ্য প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য হলফনামা করা হয়েছে। এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

এ তদন্তকালে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এছাড়া ঋণদানকারী স্থানীয় সুদকারবারীদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

দেশের বিভিন্নস্থানে গজিয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ছাড়াই নামের পাশে ব্যাংক শব্দ যুক্ত করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান জনগণের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংককে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি