মোঃ আনজার শাহ: তুমুল বৃষ্টি আর বাঁধভাঙা বন্যার তোড়ে প্লাবিত দেশের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, অঞ্চল । কালবিলম্ব না করে মানবতার চিরন্তন হৃদয়াবেগ নিয়ে দুর্গত মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন (জনকল্যাণ সংস্থা) কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা । সর্বস্তরের মানুষ অতীতের মতোই একতাবদ্ধ হয়েছেন সব মতভেদ, বিবাদ–বিসংবাদ ভুলে। সর্বশক্তি নিয়ে দেশের এই ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নেমেছেন। যে যেভাবে পারছেন—অর্থ, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, উদ্ধার, আশ্রয়, শুশ্রূষা দিয়ে, কায়িক শ্রম দিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ভালোবাসা বিতরণের সহায়তা করছেন। তাঁরা বলছেন, এই ঐক্যই দুর্যোগ–দুর্বিপাক থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধারের প্রধান শক্তি।
দুর্যোগ–দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানোর মহৎ গুণটি এ দেশের মানুষ রপ্ত করেছেন অনেক আগেই। সিডর, আইলা থেকে শুরু করে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, শৈত্যপ্রবাহ কিংবা অগ্নিকাণ্ড, ভবনধস এমনকি মহামারির সময় সর্বস্তরের মানুষ আপনাপন সাধ্যানুযায়ী মানবিক কাজে সক্রিয় থেকেছেন। সবাই মিলে দুর্যোগ অতিক্রম করে জীবনের বুনিয়াদ অব্যাহত রাখতে অবদান রেখেছেন।
রোমানিয়ান প্রবাসী আলমগীর হোসেন বলেন, কি বিশাল জনশক্তির দেশ বাংলাদেশ! কি বিশাল এখানকার মানুষের অন্তর! কি ভালোবাসাময় এক জনপদ! কয়েক কোটি বাংলাদেশিদের মধ্যে কয়েকলাখ মাত্র মানুষ বন্যার কারণে সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে! তাই কি হয়? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আশা করি, দেশি এবং প্রবাসী সকল সামর্থ্যবান বাংলাদেশি ভাইবোনেরা এগিয়ে আসবেন বন্যা-উপদ্রুত এলাকার দুর্ভাগা ভাইবোনদের সাহায্যে।