মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজার: কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেছেন, গাছ লাগানোর বিষয়টি আত্মায় ধারণ করা উচিত। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে, বায়ু পরিশুদ্ধ ও শীতল করে। আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই ও গাছের যত্ন করি। একসঙ্গে কাজ করলে বন ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব। বন ধ্বং’সে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। যারা বন ধ্বংস করছে বনের জায়গা দখ করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ৭ দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান এবং বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।এর আগে সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের চত্বর থেকে বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন।র্যালি শেষে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।এসময় তিনি বলেন,বৃক্ষরোপনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।ছাত্রছাত্রীসহ সকলকে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে হবে।বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে আরো বেশি সচেতন হতে হবে ও গাছ লাগাতে হবে এবং পরিচর্যা করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে একমাত্র গাছ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। তাই মানুষের জীবন বাঁচাতে গাছের দরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( সদর) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।উক্ত আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক শীতল পাল এবং কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম । আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় উপ- বন কর্মকর্তা মো.আনিসুর রহমান । সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন ,সুন্দর বাসযোগ্য শহর গড়তে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপনের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসম্য বিদ্যমানে অবদান রাখতে হবে।আমাদের সকলকে বৃক্ষরোপন করতে হবে এবং কোন কারণ ছাড়া গাছ কর্তন বন্ধ করতে হবে।বেশী বেশী চারা রোপন করে বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ,গাছপালা পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি বনজ ও ফলদ গাছ পুষ্টি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।তিনি আরো বলেন,বৃক্ষমেলার ব্যাপারে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে একটি করে ফলজ, একটি করে বনজ, একটি করে ঔষধি এবং অন্যান্য জাতের গাছের চারা আপনারা প্রত্যেকে নিজ আঙ্গিনায়, বাসার ছাদে লাগাবেন। তাহলে আমাদের এই বৃক্ষমেলার আয়োজন সফল ও স্বার্থক হবে।
তিনি অনুষ্ঠানে সকলে উপস্থিত হয়ে সফল করায় অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।উল্লেখ্য যে,এবারের বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলায় ১৭ টি স্টল অংশ গ্রহণ করে। বৃক্ষ মেলায় লক্ষাধিক চারার সমাহার ঘটবে।মেলায় নানা ধরনের চারা স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে,প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বনজ, ফলদ,ঔষধি এবং আরো নানা জাতের চারা পাওয়া যাবে। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৫ আগষ্ট বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।