মোঃ হাসান সরদার জুয়েল: বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরোপ্রধান।। গতকাল বরিশালের শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে দুই দফা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে চার সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১১টার দিকে শহরের দুটি পয়েন্ট সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ও জজ কোর্টের সামনে ফজলুল হক এভিনিউতে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় কমপক্ষে ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, দুপুর ১১টার পর কাঠপট্টি সড়কের মুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ শুরুতে বাধা দেয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেসময় বেশ কয়েকজন অভিভাবকও এই আন্দোলন কর্মসূচিতে ছিল। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাদানুবাদের এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ টানাহেঁচড়া করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখে। পরে কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী একজোট হয়ে সদর রোডে অবস্থান করলে পুলিশ শুরুতে তাদের ধাওয়া দেয় পরে আচমকা লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপরেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে কমপক্ষে চারজন সাংবাদিক আহত হন।
লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের ফটোসংবাদিক শামীম আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক হৃদয় চন্দ্র শীল, এনটিভি টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক গোবিন্দ সাহা, অনলাইন পোর্টাল বার্তা টোয়েন্টিফোরের এসএলটি তুহিন।
লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সাংবাদিকরাও সদর রোডে কিছু সময় অবস্থান করেন। আহত সাংবাদিকরা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বরিশাল জজ কোর্টের সামনে, ফজলুল হক এভিনিউ সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ
লাঠিচার্জের সময় উপস্থিত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তানভীর আরাফাত বলেন, পুলিশ ভুল করে সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। তিনি এ জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা পুলিশের নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।