বরিশাল নগরীর থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে শোক দিবসের ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে বরিশালে নগরীতে থমথমে পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় খুলনা থেকে নগরীতে ১০ প্লাটুন বিজিবি আনা হয়েছে এবং মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠে থাকবেন অতিরিক্ত ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
তিনি জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিজিবি ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা জোন থেকে ১০ প্লাটুন বিজিবি বরিশালের আসতেছেন।
এছাড়া পিরোজপুর ও পটুয়াখালী থেকে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঞা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি এ হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি করেছে পুলিশ। অপরটি ইউএনও মুবিবর রহমান নিজেই করেছেন। বুধবার মধ্য রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হন।
এবং বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগের নেতা বলেন, বরিশাল প্রশাসন শুধু শুধু নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এরকমের হামলা বরিশালে আর কখনও হয়নি। আহত নেতাকর্মীদের কিছু হলে তার জবাদ প্রশাসনকেই দিতে হবে।