প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। ভোট পেতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এদিকে ভোটের দিন ঘনিয়ে আসায় নগরীর প্রধান প্রধান অলি গলি সড়ক ছেয়ে গেছে পোস্টারে। প্রার্থীদের লিফলেট বিতরণে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন কর্মীরা।
সোমরার দুপুর ১২টায় নগরীর সদর রোডের ১০, ১৬, ১৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। নগরীর উন্নয়নে তরুণদের অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কাউনিয়া বাঁশের হাটসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস।
এ সয়ম সাংবাদিকদের তাপস বলেন, বরিশালকে ডিজিটাল ও আইটি নগরী গড়তে লাঙ্গলের বিকল্প নাই। তিনি তরুণ প্রজন্মকে লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
অপরদিকে বেলা ১১টায় নগরীর বান্দ রোড শের-ই-বাংলা মেডিকেলের সামনে থেকে সিএন্ডবি রোডে গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হাতপাখাকে ভয় পেয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। সুষ্ঠু ভোট হলে হাতপাখার বিজয় অনিবার্য।
অপরদিকে বিএনপির প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সোনা মিয়ার পোল, কুদঘাটা ও রুইয়ার পোল এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়া বাকি ৩ মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা এখনো নগরীতে দৃশ্যমান নেই।
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটিতে ১২৬টি কেন্দ্রের ৯৯৪টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।