মো আনজার শাহ, জেলা প্রতিনিধি: বরুড়ার চিতড্ডা ইউনিয়নের মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার নিজ কন্যাদের নামে দলিল দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৯৯০ সালে মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১ম কমিটিতে নুর হাজী সাহেব সভাপতি নির্বাচিত হন, ২য় কমিটিতে – নুরুল ইসলাম মাষ্টার সভাপতি নির্বাচিত হন, ৩য় কমিটিতে বর্তমান সভাপতি ডাঃ মোকলেছুর রহমানের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ডাঃ মোকলেছুর রহমান সভাপতি হওয়ার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রয়াত এ কে এম আবু তাহের ১০ টন চাউল বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডে প্রদান করেন। আর এই সময়ে
১৯৯৩/৯৫ সালে সভাপতি ডাঃ মোকলেছুর রহমান স্থানীয় জৈনক আলী আকবরের কাছে থেকে ৩০ শতক জমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে বিদ্যালয় ফান্ড স্থানীয় গন্যমান্যদের সহায়তা ও ডাঃ মোকলেছুর রহমান নিজেও এই জমি ক্রয়ে অর্থ সহায়তা করেন। এরপর জৈনক আরব আলীর কাছ থেকেও আরো ৬ শতক জমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন।উল্লেখ্য আলী আকবরের ৩০ শতক জমির দাম ৪৫ হাজার টাকায় নির্ধারিত হয়ে তাঁর ছেলে নজির আহমেদ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী চাকরী করবে মর্মে ১৫ হাজার টাকা কম নিয়ে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় এই জমি বিদ্যালয়কে প্রদান করেন। চিতড্ডা ইউনিয়ন দুই ভাগে বিভক্ত পশ্চিম (উঁচু) আর পূর্ব (নিচু) নামে আর এই পূর্ব অর্থাৎ এই নিচু এলাকায় একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়। অতিসাম্প্রতিক সময়ে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের জমি বিদ্যালয়ের নামে করে দেওয়ার জন্য সভাপতি ডাঃ মোকলেছুর রহমানকে চাপ প্রয়োাগ করলে প্রথমে নানান অজুহাত দেখান আর কিছুদিন পর তিনি জানান বিদ্যালয়ের তার মেয়েদের নামে দলিল করে দিয়েছেন। এই খবর এলাকায় জানাজানি হেললে এলাকায় গ্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খোকন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি শুরু থেকেই এই বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তিনি অত্যান্ত সৎজন মানুষ উনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি
উনি প্রতিষ্ঠানের শুরুতে প্রারম্ভিক ২৫ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা দিয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন করোনা কালিন সময়ে কিছুদিনের জন্য একটি এডহক কমিটি হয়ে ছিলো আর তখন বিদ্যালয়ের টাকা খরছ করে খাওয়া দাওয়া হতো, আর এডহক কমিটি বাতিল হওয়ার পর মোকলেছুর রহমান পূনরায় সভাপতি হওয়ার পর এই খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি মহল সভাপতির নামে এই মিথ্যাচার প্রাচার করছে।
এদিকে এতহক খাওয়া দাওয়া বিষয়ে বিদ্যালয়ে ২০২২ সালে অভিভাবক কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মোঃ শাহআলম নির্বাচিত বলেন এডহক কমিটির সময়ে শুধুমাত্র একদিন বিদ্যালয়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়েছে আর এই খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ খরছ তৎকালীন সভাপতি কুমিলা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সোহেল সামাদ বহন করেছেন। আর ২০২১ সালের শেষে ও ২০২২ সালের প্রথমে এডহক কমিটির আমলপে দ্বিতীয় বার আর কোন খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়নি।
এ বিষয়ে মুকুন্দপুর এলাকার আরেক কৃতি সন্তান ঢাকাস্থ বরুড়া উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঝলম স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মোঃ আবদুস সামাদ বলেন আমরা একাধিক বার উনার সাথে কথা বলেছি উনি আমাদের কথা রাখেন নি, জৈনক লতিফ নামের এক ব্যাক্তি এটা নিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেও কোন সুরাহা করতে পারেন নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকারিয়া বলেন, আমরা সকল এলাকাবাসী মিলে সাবেক সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল মহোদয় সহ মোকলেছুর রহমান সাহেব কে অনেক বার অনুরোধ করেছি উনি বিষয় গুলো কর্ণপাত করেন নি উল্টো এখন শুনি বিদ্যালয়ের জমি তার মেয়েদের নামে হস্তান্তর করে ফেলেছেন।