গত বছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’-এ দুই প্রতিবাদকারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কাইল রিটেনহাউস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ২০২০ সালেই ১৭ বছর বয়সী রিটেনহাউস বলেছিল, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট বিক্ষোভ চলার সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।
একপর্যায়ে তাকে আক্রমণ করতে এলে নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন রিটেনহাউস। সে সময় আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, রিটেনহাউসের কাছে থাকা অ্যাসল্ট রাইফেলটি ছিল অবৈধ,আর অস্ত্র বের না করলে হতাহতের ঘটনা ঘটতো না।
এদিকে এই রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে। কেউ বলছেন, রিটেনহাউস দেশপ্রেমিক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই গুলি চালান তিনি। কেউ বলছেন, রিটেনহাউস চাইলেই এই হত্যাকাণ্ড এড়াতে পারতেন।
তবে রিটেনহাউসের চালানো গুলিতে আহত ব্যক্তি গ্রসক্রুৎজ আদালতে বলেছেন, রিটেনহাউস গুলি চালানোর আগেই তিনি বন্দুক তাক করেছিলেন। এতেই রিটেনহাউসের পক্ষে রায় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেকে বলছেন, এ রায়ে আমেরিকানদের অস্ত্র রাখার সাংবিধানিক অধিকার আরেকদফা প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এমনকি যেকোনও রায়ট বা বিশৃঙ্খলা চলাকালীন জনসম্পদ বা নিজেকে রক্ষার স্বার্থে ১৭ বছর বয়সী রিটেনহাউসের হাতে প্রাণঘাতি অ্যাসল্ট রাইফেল রাখাটাও সেখানকার আইনের চোখে এখন স্বাভাবিক ঘটনা।
খবর বিবিসি