ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিয়ে ‘একযোগে’ কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
সংলাপের শুরুতে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার হুমকিতে পড়েছে, তখন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় এক সঙ্গে করবে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে ঢাকাকে আরও কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারি সংলাপ ঢাকায় শুরু হয়েছে। দুই বছর বিরতির পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়।
করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক স্থগিত ছিল বাংলাদেশের। এবারের সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড।
বৈঠকে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোর দিচ্ছে ঢাকা। অন্যদিকে ওয়াশিংটন মানবাধিকার, শ্রম অধিকার, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে (আইপিএস) গুরত্ব দেবে।সংলাপ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের।
এরআগে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে চাই। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ চাই। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু, জিএসপির পুনর্বহাল বা সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা মাকিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন।