থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পর বিশ্ববাজারে বেশকিছু সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই ২০২৬ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ বা পিটিএ অপরিহার্য হবে। তবে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করার আগে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে। এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে থাই বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনেক দেশই তাদের নিজেদের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েছে। থাইল্যান্ডও চাইলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে। এছাড়াও থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা গেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও মাছ রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এ সময় দেশটিতে রোড শো আয়োজন এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন।
ব্যাংকক ও ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী। ঐ সময় এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেন থাই রাষ্ট্রদূত। ঐ বৈঠকেই দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন এবং মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।