1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশি সেনাদের প্রশংসা শুনলে গর্বে বুক ভরে যায় : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে, সেসব দেশে গেলে বা তাদের রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দেখা হলে তারা প্রত্যেকেই আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এটা শুনে সত্যিই আমার গর্বে বুক ভরে যায়।

আজ বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে গৌরবের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশের সদস্যরা। আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যাতে বিশ্বের সব থেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে, সে হিসেবেই তাদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।

যুদ্ধ হয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত বিশ্ব শান্তি নষ্ট করছে। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবন ততই বিপন্ন হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। শান্তির কথা বললেও বারবার আমরা সংঘাতে লিপ্ত হই। যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতে হবে।

বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি