তার চেয়ে অধিনায়ক আকবর আলী, ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, শামিম পাটোয়ারী ও পেসার শরিফুল ইসলামের নামডাক বেশি। কিন্তু ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের হিসেব কষলে অনেকের চেয়েই এগিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়।
সেই আসরের সেমিফাইনালে তার সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। যা নেই আর কারও। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেটে মোটামুটি পারফরম করলেও সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে পরপর দুই ম্যাচে শতরান করে নজর কাড়েন এ ডানহাতি তরুণ। ঐ নৈপুণ্যের আলোকছটা দেখেই আসলে নির্বাচকরা তাকে টেস্ট দলে জায়গা দিয়েছেন।
তবে টেস্ট অভিষেকটা মোটেও ভাল হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকার শেরে বাংলায় দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ার শুরু করা মাহমুদুল হাসান জয় দুই ইনিংসে একবারও দুই অংকে পৌঁছাতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ০, পরেরবার ৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন জয়।
দেশের মাটিতে ধীরগতি, নিচু বাউন্স ও খানিক স্পিনবান্ধব পিচে শাহিন শাহ আফ্রিদি-হাসান আলির বিপক্ষে খেলতে যার সমস্যা হয়েছে, সেই তরুণ টপঅর্ডার নিউজিল্যান্ডের সতেজ দ্রুতগতির বাড়তি বাউন্সি উইকেটে টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টদের সামনে কতটা কী করতে পারবেন- তা নিয়ে সংশয় থাকাই স্বাভাবিক।
কিন্তু শুনে আশ্চর্য্য হতে পারেন, মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে বেশ আশাবাদী অধিনায়ক মুমিনুল হক। ভাবছেন প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৬ রানের ইনিংস খেলাতেই বুঝি খুশি ক্যাপ্টেন মুমিনুল। ব্যাপারটা তেমন নয়। আসলে জয়ে মুগ্ধ টাইগার অধিনায়ক। জয়ের মধ্যে একজন সুপার স্টারের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাচ্ছেন মুমিনুল।
শুক্রবার জুম কনফারেন্সে মাহমুদুল হাসান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুমিনুল জানিয়ে দিলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করার সময়ই জয়কে তার ভাল লেগেছে এবং তার ব্যাটিং শৈলিতে মুমিনুল অনেক আকৃষ্ট।
মুমিনুলের কথা, ‘যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জয়কে দেখে ভালো লেগেছিল। আমি ওকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমার মনে হয় পরবর্তীতে বাংলাদেশের সুপারস্টার হতে পারে ও। এসব কথা মিডিয়াতে না বলাই ভালো। কিন্তু আমি ওর উপর ইমপ্রেসড। আশা করি সে ভালো ক্রিকেট খেলবে। তার বড় খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’