বায়ু প্রযুক্তিতে জার্মানির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বায়ু বিদুু্যুতের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জার্মানির বার্লিনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি ড. বারবেল কফলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উদ্ভাবন ও স্থিতিস্থাপকতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এ যুগান্তকারী উদ্যোগটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পরিষ্কার এবং টেকসই জ্বালানির উৎসগুলোর প্রতি আকৃষ্ট করছে, সেই সঙ্গে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে নিজেদের স্বাবলম্বী করছে।
তিনি বলেন, সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রামটি কেবল ঘর আলোকিত নয়, বরং যারা আগে অন্ধকারে ছিল তাদের জন্য আশার আলো বয়ে এনেছে। এ ছাড়া মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব ও সম্পদের ব্যবহার করে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রশমিত করতে বদ্ধপরিকর।
নসরুল হামিদ বলেন, একটি ৬০ মেগাওয়াট অনশোর উইন্ড পাওয়ার সাম্প্রতিক কমিশনিং জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ অর্জন শুধু ঐতিহ্যগত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে না, বরং জার্মানিসহ উন্নত দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহযোগিতা করার আগ্রহও তুলে ধরে। বায়ু প্রযুক্তিতে জার্মানির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বায়ু বিদুত্যের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে। নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উদ্ভাবন ও অংশীদারিত্ব উভয় দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ সংকেত। এ সবুজ সংকেত অন্যদের অনুসরণ করার জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
জার্মানির সংসদীয় স্টেট সেক্রেটারি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে সহযোগিতা করবে।