যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অসাধারণ আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সাফল্যগাথা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দূতাবাসের আউটরিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত ইমরান গত ১৩ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান ইয়াং কিমের সঙ্গে এক বৈঠক করেন।
দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান ইয়াং কিম হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি আফ্রিকা সংক্রান্ত সাব-কমিটি এবং হাউস ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির সদস্য।
কংগ্রেসওম্যান কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি, উন্নত ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, বৈচিত্র্যময় চামড়াজাত পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ সম্পর্কে অবহিত করেন।
কংগ্রেসওম্যান কিমের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকংগ্রেসওম্যান কিমের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান
তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ সামাজিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারত্বের বিষয়েও আলোচনা করেন।
ইয়াং কিম সব ক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং যেকোনও গঠনমূলক কাজে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত ইমরান রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি ও হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সদস্য কেন বাকের সঙ্গে তার ক্যাপিটল হিলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠককালে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয় এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে কংগ্রেসম্যান কেন বাক কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসে যোগদানের ব্যাপারে তার আগ্রহ জানান।
কলোরাডোর চতুর্থ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান কেন বাক ইন্দো-প্যাসিফিক সংক্রান্ত হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাবকমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন।