ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় সরকার দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যদিও ঘোষণায় বলা রয়েছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের জনচলাচল বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে পণ্য আমদানি-রফতানি। তারপরও কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তার সঠিক কোনো কারণ বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার তথ্য মিলেছে। রাজধানীর রামপুরা, মধুবাগ ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও হাইব্রিড পেঁয়াজে (ভারতীয়) কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা।
বাজারঘুরে দেখা গেছে, দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে যার দাম ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা। অন্যদিকে লাল বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়। পাইকারি বাজারে যার দাম কেজিপ্রতি ৩৬ থেকে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায়। দুএকদিন আগেও বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকায়। আর হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকায়।
এছাড়া দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে ভোজ্য তেলেও। পাইকারি বাজারে ইতোমধ্যে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের। কারণ বোতলজাত তেলে পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। আগামীকালই (মঙ্গলবার) সয়াবিন তেলের খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া আজ বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল (৫ লিটার) ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকা, আদা ১০০ টাকায়, রসুন ১২০ থেকে ১২৫, ছোলা ৭৫ থেকে ৮০, দেশি মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা, মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতে করেনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওই ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ দিন সীমান্ত বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে পণ্য আমদানি-রফতানি এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।