1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

বাজারে কাঁচা মরিচের ‘ঝাল’ বেড়েই চলছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমনকি বিভিন্ন উৎপাদন এলাকাতেও উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ।

রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

জানা গেছে, বাজারে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। আর দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এর চেয়ে বেশি দামেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারতীয় কাঁচা মরিচ আকারে দেশি মরিচের তুলনায় কিছুটা বড়।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচা মরিচ কেনা না হয় আপাতত বাদ দিলাম, ডিমের বিকল্প কী? সবকিছুর দামই তো চড়া! স্বল্প আয়ের মানুষ খুব সংকটে আছে।’

রাজধানীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মরিচের উৎপাদনস্থলেই দাম বেশি। যেমন দেশের কাঁচা মরিচের অন্যতম উৎপাদন এলাকা বলে পরিচিত পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৩৬০ টাকা কেজি স্থানীয় (দেশি) কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে যে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে, তার দামও বেশি। এসব কারণে বাজারে মরিচের দাম ক্রমে বাড়ছে।

মরিচচাষিরা বলছেন, চলতি বছর মরিচ আবাদের শুরুর দিকে অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুন মাসে প্রচণ্ড খরা ও গরমে মরিচগাছগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ফলন কমেছে। অন্যদিকে বর্তমানে ভারী বর্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ কমেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানিতে মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি মধ্যে গাছ থেকে মরিচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাহিদা অনুয়ায়ি বাজারে মরিচ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বছর কোরবানি ঈদের মাসখানেক আগে থেকেই মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। প্রায় ১৫ দিন ধরে বেড়েই চলেছে পণ্যটির দাম। গত বছর এসময় মরিচের দাম বেড়ে ৭০০ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়।

এদিকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম সবজি ও কাঁচা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করেছেন। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারী বর্ষণের কারণে দেশের ১৮টি জেলায় পানি বেড়েছে। এতে ওই এলাকাগুলো থেকে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ কমেছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে অসাধু কারও ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে হয় না। আমি মনে করি এ পরিস্থিতি সাময়িক। তবে বাজারে আমাদের নজরদারি থাকবে। কারসাজির কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি