বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট ম্যাচে ৩০৩টি বাজি ধরায় ইংল্যান্ড জাতীয় দল ও ডারহাম কাউন্টি ক্লাবের পেসার ব্রাইডন কার্সকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৩ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। একই সঙ্গে ১৩ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে।
২৮ বছর বয়সী এ পেসার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। সবশেষ গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে।
ইসিবির নতুন স্বাধীন সংস্থা ‘ক্রিকেট রেগুলেটর’-এর তদন্তের কার্সের বাজি ধরার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। কার্সও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যযন্ত বিভিন্ন ম্যাচে কার্স বাজি ধরলেও এসব ম্যাচের কোনোটিতেই খেলেননি তিনি। তবে পেশাদার ক্রিকেটার, কোচ, কোচিং স্টাফের সদস্যরা বাজি ধরতে পারবেন না, এ কারণেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইংলিশ এই পেসার।
‘ক্রিকেট রেগুলেটর’ তাদের দেয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তদন্তের কাজে কার্স আমাদের সহযোগিতা করেছেন এবং কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেছেন।’ এদিকে বাজি ধরাইয় নিজের দায় নিয়ে কার্স বলেন, ‘বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় (মাথা পেতে) নিচ্ছি।’
একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার মাঠে ফেরার প্রতাশার কথাও জানিয়েছেন কার্স। তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় আমি ইসিবি, ডারহাম এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব এবং এটা নিশ্চিত করছি, আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা আবারও খেলতে নেমে শোধ করব।’