বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং এই ৩টি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
এ ছাড়া, যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে, বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম করা হয়েছে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’।
এবার দেশের ৫১তম বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাতকে। এ ছাড়া আগামী বাজেটে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রাধিকার পাবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল ৩টায় ওসমানী মিলনায়তনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।