বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং মিজোরাম আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি। মিজোরামের সাথে সরাসরি ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। সড়ক ও নৌ পথে এ ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। মিজোরামে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মিজোরাম সরকার চাচ্ছে । মিজোরাম সরকার বাংলাদেশের চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২১ মার্চ) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানা (উৎ. জ. খধষঃযধহশষরধহধ) এর সাথে স্বাক্ষাতের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং এর সময় এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলোতে বড় ধরনের বাণিজ্য না হলেও উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডারহাট উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক. টয়লেটরিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একই ভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, চিলি এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয়দিক বিবেচনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তারিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রেস ফ্রিফিং এ বলেন, মিজোরাম বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছি। মিজোরাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। মিজোরাম বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য। আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বাংলাদেশ মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে উভয় দেশের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। বাঁশ, পাথর সেগুনকাঠসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি উভয় দেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে।
এ সময় মিজোরামের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সফররত মন্ত্রীর স্ত্রী ঘমঁৎসধরি ঝধরষড় সহ তিনজন প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং যুগ্মসচিব(এফটিএ) নুর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।