বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সম্ভাবনাময় দেশের সাথে কার্যকর ও ফলপ্রসূ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে বাণিজ্য কূটনীতি ও নেগোসিয়েশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতা উন্নয়নে বিকল্প নেই।
এক্ষেত্রে নেগোসিয়েশনকে ফলপ্রসূ করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান এবং কৌশল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট চুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন বলেও জানান মন্ত্রী।
গতকাল বুধবার টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) আয়োজিত ‘ট্রেড ডিপ্লোমেসি এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড নেগোশিয়েশন’ শীর্ষক ৪ দিন-ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারি অভিজ্ঞ অংশীজনদের নিয়ে এক্সপার্ট-পুল গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়াও, রিজওনাল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আরটিএ) পলিসি ২০২২ গাইডলাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, থিংক ট্যাঙ্ক ও একাডেমিয়ার সদস্যদের নিয়ে একটি ট্রেড নেগোশিয়েশন স্ট্রাকচার গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না।এজন্য অন্যান্য দেশ ও বাণিজ্য জোটের সাথে আমাদের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজন হবে। মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য নেগোসিয়েশনের দক্ষতা বৃদ্ধি ও এই বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্য এই প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আমি আশা করছি।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই প্রশিক্ষণ পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের কর্মকর্তাদের বাণিজ্য কূটনীতি ও নেগোশিয়েশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে একটি এক্সপোর্ট পুল অব নেগোশিয়েন তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিএফটিআই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, বিএফটিআই প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাবলিক সেক্টর ও প্রাইভেট সেক্টরের বাণিজ্য সংক্রান্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএফটিআই পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম বক্তব্য রাখেন।