ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না, তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনটি সংস্কার হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আজ (বুধবার) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘শেপিং এ ফিউচার অব রাইটস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এখন মামলা হলেই তা গ্রহণ করা হয় না। এটা একটি বিশেষ সেলে পাঠানো হয়, এরপর যাচাই-বাছাই শেষে আদালতে মামলা দাখিল করা হয়। সেলকে বলা হয়েছে অযথা সাংবাদিকদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সমস্যা দূর করে এটাকে সর্বসাধারণের আইন করা হবে৷ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনোই গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এটা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের ইনচার্জ সুজান ভাইজ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. গীতি আরা নাসরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় গীতি আরা নাসরিন বলেন,অনেক গণমাধ্যম থাকলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না। সবচেয়ে জরুরি মুক্তভাবে কাজ করতে পারা। বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে, যে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বেশি, তথ্যের প্রবাহ বেশি সে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি।
তিনি বলেন, গবেষণায় প্রমাণিত যেসব দেশে বৈষম্য বেশি সেসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কম। অর্থাৎ বৈষম্য বেড়ে গেলে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে যাবে। এক সময়ে এসিড সন্ত্রাস বড় ধরনের সমস্যা ছিল বাংলাদেশে। গণমাধ্যমের অবদানে সেটা আজ কমে গেছে। ভয় কিংবা সুবিধা পাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের কাজ করা উচিৎ নয়। নানা ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সারা বিশ্ব সমাজ আজ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে।