1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

‘বাবায় কইছিল আমারে জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইব’

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২

‘আমার বাবায় আমায় কইছিল জাহাজ দেহাইবে, ঘুরাইয়া দেহাইবে সব। কিন্তু তা আর হইল না, আহারে আমার বাবা।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনটাই জানাচ্ছিলেন ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমান আরিফের মা আমেনা বেগম।

ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে। তিনি উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।

নিহত প্রকৌশলী হাদিসুরের মা আমেনা বেগম বলেন, মায়ের কাছে সন্তানের মৃত্যু কতটা বেদনাদায়ক তা একমাত্র যার সাথে ঘটে সে-ই বুঝতে পারবে। আমার বাবায় (হাদিসুর) কোনো দিন আমার অবাধ্য হয়নাই। লেখাপড়ায়ও ভালো ছিল।

ছেলে নিয়মিত খোঁজ নিতেন, সেই স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, বাবায় আমারে কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, ওগো জাহাজ ঘুরাইয়া দেখইবে। কিন্তু তা আর হইল না। আমার নাড়ি ছেঁড়া ধন চইলা গেল। এহন কে আমারে ফোন কইরা ওষুধ খাওয়ার জন্য তাড়া দেবে, কে ফোন কইরা খাইছি কিনা জিগাইবে।

আমেনা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি যে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।

চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর ছিলেন দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন হাদিসুর। মেরিন ইঞ্জিয়ার হয়ে ২০১৫ সালে এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। হাদিসুলের মারা যাওয়ার খবরে শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি