জাহিদ হাছান: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসানের বাড়ি কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন কাইমপুর দক্ষিণ পাড়া, তার বাবার নাম জারু মিয়া।
নিহত হাসানের চাচাতো ভাই আরিফ জানান, হাসান বিভিন্ন সময় সীমান্তের ওইপার থেকে চিনি নামানোর শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। তবে হাসান ব্যবসা করেন না, সে ওই এলাকার কিছু ব্যবসায়ির কাজ করত, সে ছিল ভাড়াটিয়া শ্রমিক কার কাজ করতো এখনো জানা যায়নি,
সোমবার সকালে সীমান্ত থেকে চিনি আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজিবির সিও এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ও এ ব্যাপারে শুনেছি সকালে এই ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা সুষ্ঠ তদন্ত করতেছি কেন কিভাবে গেল সীমান্তে তা আমরা এখনো কিছু জানিনা এ ব্যাপারে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করতেছি,আমরা শুনেছি সীমান্তে যুবককে গুলি করেছে সে মারা গিয়েছে, আমরা আমাদের কাজ করতেছি, এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ড এর জনপ্রতিনিধি মোঃ আলী আশরাফ জানান, দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় চিনি ও গরু ব্যবসা চলতেছে,আমি সকালে শুনেছি পুটিয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের গুলিতে এক যুবক মারা যায়, এবিষয়ে আরো যানা যায় যে বায়েক ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত চিনি ও গরুর অন্তরালে সর্বনাশা ইয়াবা ও গাঁজা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে, আরো জানাজা যে ৯ নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর খাদলা পটিয়া গ্রামের ৮ থেকে ১০ জন মাদক সম্রাট প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে,এসব মাদকসম্রাটরা এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ , জানাজা যে ৮ থেকে ১০ জন লোক গত তিন বছরে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে, তাদের একাধিক অ্যাকাউন্ট এবং কোটি কোটি টাকা লেনদেন জমি কেনা সহ অনেক টাকা তাদের কাছে এখন মজুদ আছে, এ ব্যাপারে কিছু লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন মাদক সম্রাটরা কেউ কসবা উপজেলা শহরে জমি কিনেছে,আবার কেউ কুমিল্লা শহরে জমি কিনেছে, কেউ গ্রামের বাড়িতে ৭০-৮০ লাখ টাকা খরচ করে ঘর করেছে,বিশেষ করে শ্যাম পুর পুটিয়া গ্রামের এই মাদকসম্রাটরা এক এর পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে, গত ছয় মাসে মারা মারি কাটাকাটি দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ মামলা ও হয়েছে একাধিক, এত করে যুব সমাজ ধ্বংস ও কোমলমতি শিশুদের পড়াশোনা সব শেষ হয়ে গেছে,পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা ৫০% এর কম ছাত্র উপস্থিত হয় স্কুলে এতে করে আগামী প্রজন্ম ধংসের পথে চলে যাচ্ছে, গত বছর শ্যামপুর হাইস্কুলে এস এসসি পরীক্ষার ফলাফল খুব খারাপ হয়েছে, কারন একটাই ভারতীয় চিনি ও গরু ব্যবসার আড়ালে মাদক প্রাচারে জরিত হচ্ছে অতিরিক্ত টাকার লোভে, স্হানীয় সচেতন ব্যক্তিরা ও সাধারণ জনগন,চায় মাদক সম্রাটদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হলে, দেশ ও সমাজ আগামী প্রজন্ম পাবে সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধ দেশ।