স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসিকে নিয়ে বেশ বড় একটি খেলা খেলে ফেলেছেন বার্সেলোনা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু। এই খেলায় হয়তো সাময়িকভাবে জয় পেয়েছেন তিনি। মেসিকে ধরে রাখতে পেরেছেন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। আগামী একটি বছর হয়তো মেসি শারীরিকভাবে বার্সায় থাকবেন, কিন্তু সঠিকভাবে মনযোগ দিতে পারবেন কি না সন্দেহ।
বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু মেসিকে নিয়ে খেলায় আপাতত জিতলেও বৃহত্তর ক্ষেত্রে যে হেরে বসে আছেন তিনি! মেসির সঙ্গে বার্তেম্যুর খারাপ সম্পর্ক এবং তার অবস্থানকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না বার্সার ভক্ত-সমর্থকরা। এমনকি এর বিশাল একটি প্রভাব যে আগামী নির্বাচনেও পড়তে যাচ্ছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গেছে।
বার্সা প্রেসিডেন্ট এবং তার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের ওপর সমর্থকদের আস্থা কতটুকু কিংবা অনাস্থাই বা কতটুকু, সেটা জানার চেষ্টা করেছে বার্সারই অন্য একটি গ্রুপ। এ নিয়ে তারা বার্সেলোনা ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজে নেমেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ অনাস্থা ভোট পড়েছে হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বিপক্ষে।
যারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন, তাদের লক্ষ্য ১৬ হাজার ৫২০টি অনাস্থা ভোটের স্বাক্ষর নেয়া। যেটা হবে বার্সার ইলেক্টোরাল রেজিস্টারের ১৫ ভাগ। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ চলবে।
হোসে মারিয়াদের বিপক্ষে চলমান এই অনাস্থা ভোটের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন, বার্সার আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারেন এমন কয়েকজন। যেমন, ভিক্টর ফন্ট, জর্দি ফেয়ার এবং লুইজ ফার্নান্দেজ আলা।
তারা বিশ্বাস করেন, বার্সেলোনা এই মুহূর্তে প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিকভাবে এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এসবই এসেছে মূলতঃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল লজ্জা এবং মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার মধ্য দিয়ে।
আগামী কয়েকটি দিন বার্সার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই অনাস্থা ভোট চলতে থাকবে কি থাকবে না- সেটাই একটা শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে লক্ষ্য পূরণ হতে এখনও অর্ধেকেরও বেশি অনাস্থা স্বাক্ষর প্রয়োজন রয়েছে বিরোধীদের।